সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
হাজার হাজার বছর ধরে গৃহপালিত গাধা (Equus asinus) কাজ এবং পরিবহনের প্রাথমিক উৎস হিসাবে মানুষ ব্যবহার করে এসেছে। ঘোড়ার বিপরীতে, মানুষের সাথে গাধার দীর্ঘ ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়, বিশেষ করে তাদের উৎপত্তি, গৃহপালন এবং তাদের জিনোমের উপর মানব ব্যবস্থাপনার প্রভাব সম্পর্কে।
ফ্রান্সের পল সাবাতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল ২০৭টি আধুনিক গাধা, ৩১টি প্রাচীন গাধা এবং সেইসাথে ১৫টি বন্য ইকুইডের জিনোম সিকোয়েন্স তৈরি করেন। এসব জিনোম বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা ৭,০০০ বছর আগে পূর্ব আফ্রিকান এলাকায় গাধা পোষ মানানো উৎসের শক্তিশালী ফিলোজিওগ্রাফিক প্রমাণ পেয়েছেন।
যদিও এই প্রাণীগুলি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের সম্প্রদায়ের বিকাশের জন্য এখনও অপরিহার্য (বিশেষ করে যারা আধা-শুষ্ক এবং উচ্চভূমি পরিবেশে) তবে তারা উল্লেখযোগ্যভাবে অবমূল্যায়িত রয়ে গেছে, আধুনিক শিল্পোন্নত সমাজে উপযোগিতা হারানোর কারণে সম্ভবত তাদের বর্তমান এই অবমূল্যায়িত অবস্থা।
এই ব্যবধান মেটাতে Dr. Evelyn Todd এবং সহকর্মীরা আধুনিক এবং প্রাচীন গাধার জিনোম সিকোয়েন্স তৈরি করেছেন গাধার ইতিহাস জানতে।
৭০০০ বছর আগে আফ্রিকায় প্রথম গৃহপালিত হবার পর আফ্রিকা জুড়ে এবং ইউরেশিয়ায় একের পর এক এদের বিস্তৃতি ঘটে যেখানে শেষ পর্যন্ত অর্ধ-জনসংখ্যা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, সম্ভবত সাহারার শুষ্কতার কারণে।
অবশেষে, ইউরোপ এবং নিকট প্রাচ্য থেকে জিনগত প্রবাহের ফলে পশ্চিম আফ্রিকান গাধার জনসংখ্যায় আগের অবস্থায় ফিরে আসা শুরু করে।
গবেষকরা লেভান্ট অঞ্চল থেকে একটি নতুন জেনেটিক বংশের সন্ধান করেছেন যা প্রায় ২,২০০ বছর আগে বিদ্যমান ছিল এবং এশিয়ান গাধার জনসংখ্যার দিকে জিন প্রবাহ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছি্লো।
———
The genomic history and global expansion of domestic donkeys, Science (2022), 377 (6611): 1172-1180; DOI: 10.1126/science.abo3503
নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।