সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
সকল বস্তুর জড়তা আছে। জড়তা হচ্ছে কোনো বস্তু তার গতির পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর প্রকৃতিক প্রবণতা। যে বস্তুগুলো স্থির অবস্থায় আছে সেগুলো সেভাবেই থাকার চেষ্টা করে এবং গতিশীল বস্তুগুলি একই গতিতে ও একই দিকে চলতে থাকে। একটি বস্তুর জড়তা কাটিয়ে গতি পরিবর্তন করতে বস্তুটির ওপর একটি শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
উদাহরণস্বরূপ, মাটিতে রাখা একটি ফুটবল বলটি সেখানেই থাকবে যতক্ষণ না কেউ এটিতে বল প্রয়োগ (ধরুন, লাথি দিয়ে) না করে। একটি লাথি দেওয়া বল বাতাসের মধ্য দিয়ে চিরকালের জন্য যাত্রা করতো, যদি না মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং বায়ু প্রতিরোধের শক্তি এটিকে নিচে টেনে নিয়ে না যেতো।
জড়তার এই নিয়মগুলি পদার্থবিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের গতির প্রথম সূত্রে বলা হয়েছে: বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরলপথে চলতে থাকে (দ্বিতীয় সূত্রতে বলা হয়েছে, কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে। তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।)
যে বস্তু যত বড় এবং ভারি তার জড়তা তত বেশি। অর্থাৎ বড় বস্তু তার গতির পরিবর্তনকে বেশি প্রতিরোধ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বাইসাইকেলের চেয়ে একটি ট্রেনকে সামনে নিতে হলে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। কারণ একটি ট্রেনের ভর একটি সাইকেলের চেয়ে অনেক বেশি। একটি ট্রেনকে তার ট্র্যাকে থামাতেও অনেক বেশি শক্তি লাগে।
একবাক্যে
জড়তার শক্তিকে কাজে লাগানো একদিন প্রকৌশলীদের কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ দিয়ে মহাকাশযান তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। কেন? সেটা একটু ভেবে দেখুন।
——
বিজ্ঞান কথা-র সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন
নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।
এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।