সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
নাসা-র তথ্য অনুসারে সবুজ রঙের ধূমকেতুটি শেষবার দেখা গিয়েছিলো প্রস্তর যুগ, যখন মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালরা পৃথিবীতে সহাবস্থান করছিল। গত বুধবার (১লা ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৩) ধূমকেতুটি আবার পৃথিবীর নিকটতম স্থানে অবস্থান করে যার দূরত্ব ছিলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার এবং তারপর আবার পারি জমায় মহাকাশের অতল সমুদ্রে। যদিও এটি কবে নাগাদ আবার দেখা যাবে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে তা বিচার করা কঠিন, তবে ধারণা করা হয়, হয়তো লক্ষ-লক্ষ বছর ধরে আর দেখা যাবে না একে।
২০২২ সালের ২ মার্চ বিরল এই সবুজ ধুমকেতুর আবিষ্কার করেছিলেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পরিচালিন পালোমার অবজারভেটরি-র জিকি ট্রানসিয়েন্ট ফেসিলিটি (ZTF)-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেয়া হয় C/2022 E3 (ZTF)।
এক বছরেরও কম আগে আবিষ্কৃত, সবুজ ধূমকেতুটি প্রথমদিকে উত্তরের রাতের আকাশে দূরবীণ এবং ছোট টেলিস্কোপ এমনকি উত্তর গোলার্ধের অন্ধকার কোণে খালি চোখেও দেখা যাচ্ছিলো। বাংলাদেশের আকাশে ১ তারিখে সন্ধ্যার পরেই উত্তর-পশ্চিম আকাশে দেখা গিয়েছিলো। তবে উজ্জলতা কম থাকায় এবং আকাশে চাঁদ থাকায় সাথে আলোক দূষণের ফলে খালি চোখে দেখা খুবই কষ্টকর ছিলো। ১০ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে, এটি মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধুমকেতুরটির সবুজ রঙের পেছনে কারণ এর নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকা গ্যাস ক্লাউড বা কোমাতে থাকা কার্বন।
ক্রেডিট: Dan Bartlett/NASA
ধূমকেতুটি ২০২০ সালের Neowise বা ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে Hale-Bopp এবং Hyakutake এর মতো উজ্জ্বল ছিলো না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করার জন্য যথেষ্ট উজ্জাল ছিলো।
ধূমকেতুর কক্ষপথ দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, এটি আমাদের সৌরজগতের শেষ কোণে থাকা উর্ট ক্লাউড (Oort Cloud) থেকে এসেছে। এই উর্ট ক্লাউড হলো প্লুটো গ্রহেরও পিছনে অবস্থিত কোটি কোটি ধূমকেতু ও গ্রহাণুর আবাসস্থল।
প্রতিদিন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।