সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
12P, যাকে Pons-Brook বা Devil Comet নামেও ডাকা হয়, ধুমকেতুটি সর্বপ্রথমবার দেখা গিয়েছিল ১৮১২ সালে। ৭১ বছর পর্যায়কাল বিশিষ্ট এই ধূমকেতুটি আবার দেখা দিয়েছে এই বছর। ধুমকেতুটির আবিষ্কারক জেন লুইস পন্স এবং উইলিয়াম ব্রুকস লক্ষ্য করেন এই ধুমকেতুটির কক্ষপথ অন্যান্য উল্কাপিন্ডের মতো ২০ থেকে ২০০ বছরের মাঝে, 12P একটা হ্যালি- টাইপ ধুমকেতুটি এবং এটার উজ্জলতা প্রায় ৫ মাত্রার, যা পিরিয়ডিক ধুমকেতুদের মাঝে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল।
এই ধুমকেতুটি গত বছরে জুলাইয়ে ৬৯ বছর পর ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। কোনো উল্কাপিন্ড যখন সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে, তখন প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় বল ও তাপের কারণে উল্কাপিন্ডের গ্যাস, পাথর আর বরফ ভাঙ্গতে থাকে। এবং ধুমকেতুতে পরিণত হয়। এখানে 12P ধুমকেতুর ক্ষেত্রে চমৎকার বিষয়টি হলো, এর গায়ে থাকা উচ্চ মাত্রার ডাই-কার্বন পদার্থ। এটা ধুমকেতুতে সবুজাভাব আলোর তৈরি করে। ধুমকেতুটি আমাদের মূল সৌরজগতে জানুয়ারিতে প্রবেশ করে, ২৪শে এপ্রিলে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল এবং পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি ২রা জুনে দেখা যাবে।
এই মাসের শুরুতে ধুমকেতুটি সম্পর্কে জানতে পারার পর দূরবীন নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণের কার্যক্রম নেওয়া হয়। ২৪শে এপ্রিল সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান ছিল, এবং তবে বাংলাদেশ থেকে ধুমকেতুটির অলটিটিউড ছিল মাত্র ৯ ডিগ্রির মতো। বাংলাদেশ থেকে বাকি সময়ের চাইতেও ধুমকেতুটি বেশি উজ্জলভাবে দেখার সম্ভবনা জাগায়। এজন্য পাবনা ও নোয়াখালি থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলাদা আলাদা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মেঘের আনাগোনা থাকায় কোথাও থেকে ধুমকেতুটির দেখা সম্ভব হয়নি। তবে ৯ই এপ্রিল নোয়াখালি থেকে ধুমকেতুটির একটি চমৎকার ছবি তোলা সম্ভব হয়েছিল। ধুমকেতু 12P এর বাংলাদেশ থেকে তোলা এটিই একমাত্র ছবি।
নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।
এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।