সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
নাসার বিজ্ঞানীরা লুসি মিশনে কাজ করছে, মানবজাতির প্রথম “ট্রোজান” গ্রহাণুগুলি নিয়ে গবেষণা করার জন্য; লুসি ২০২১ সালে ১২-বছরের মিশন নিয়ে পৃথিবী ছাড়ে। লুসির মিশনে রয়েছে সাতটি ট্রোজান গ্রহাণু এবং সৌরজগতের প্রধান গ্রহাণু বেল্টে পর্যবেক্ষণে।
২৭শে মার্চ, লুসির সায়েন্স টিম আবিষ্কার করে যে লুসি মিশনের ট্রোজান গ্রহাণু লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সবচেয়ে ছোট লক্ষ্যবস্তু, পলিমেলের নিজস্ব একটি উপগ্রহ রয়েছে। সেই দিন, পলিমেল একটি নক্ষত্রের সামনে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ২৬ জন সদস্য বিশিষ্ট পেশাদার এবং অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দলকে কাজে লাগিয়ে লুসি টিম পলিমেলের অবস্থান, আকার এবং আকৃতি অভূতপূর্ব নির্ভুলতার সাথে পরিমাপ করার পরিকল্পনা করেছিল পিছনের তারার উজ্জ্বলতায় ছোট পরিবর্তন থেকে হিসাব করার মাধ্যমে। পর্যবেক্ষণ থেকে মূল্যবান তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি বিশেষ বোনাস হিসেবে পলিমেল-এর চারপাশে প্রদক্ষিণ করা ছোট একটি উপগ্রহের সন্ধান।
ক্রেডিট: NASA’s Goddard Space Flight Center
সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে Marc Buie বলন,
“আমরা রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম যে ১৪টি দল গ্রহাণুটির পিছনে যাওয়ার সময় নক্ষত্রের উজ্জ্বলতায় ছোট পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেছে, কিন্তু আমরা ডেটা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখেছি যে দুটি পর্যবেক্ষণ অন্যদের মতো ছিল না। এই দুই পর্যবেক্ষক পলিমেল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে একটি বস্তু সনাক্ত করেছে। যেটি উপগ্রহ ছাড়া কিছু নয়।”
ক্রেডিট: NASA’s Goddard Space Flight Center
গ্রহের নামকরণের নিয়ম অনুসরণ করে, কক্ষপথ নির্ধারণ না করা পর্যন্ত উপগ্রহটিকে আনুষ্ঠানিক নাম দেয়া হয় না। পর্যবেক্ষণের সময় পলিমেল পৃথিবী থেকে ৭ কোটি ৭০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ছিল। এই দূরত্ব এবং গ্রহাণুর আকারটি মোটামুটি ঢাকার একটি বিল্ডিং থেকে থেকে তাকিয়ে ইরাকের বাগদাদের রাস্তার ধুলোবালীর মধ্যে থাকা এক টাকার কয়েন পর্যবেক্ষণ করার মতো।
প্রতিদিন আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।