সর্বশেষ বিজ্ঞান সংবাদ বিজ্ঞানবার্তা-র গুগল নিউজ চ্যানেলে।
এই মুহূর্তে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে একটি লঞ্চপ্যাডের উপরে একটি ৩২-তলা রকেট মাউন্ট করা আছে। আজ সোমবার এটি চাঁদে একটি মহাকাশযান নিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করছে।
UPDATE!!: কাউন্টডাউনের সময় কিছু সমস্যা উদ্ভূত হওয়ার কারনে NASA তার আর্টেমিস ১ মিশনের লঞ্চ স্থগিত করেছে। নাসা শুক্রবার বা ৫ সেপ্টেম্বর আবার চেষ্টা করতে পারে। মুলত প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে লঞ্চটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে – প্রথমে একটি ফাটল পাওয়া গেছে, তারপরে প্রকৌশলীরা রকেটের নীচে একটি বড় ইঞ্জিনের তাপমাত্রা স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তারা ইঞ্জিনের তাপমাত্রার সমস্যা সমাধান করতে পারেনি।
বছরের পর বছর বিলম্ব এবং অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের পরে, Artemis I (আর্টেমিস ১) চন্দ্র মিশন অবশেষে আজ ২৯শে আগস্ট বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:৩৩-এ যাত্রা শুরু করবে।
Space Launch System (SLS) এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। ২০১১ সালে প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত। Artemis I নামক এই মিশনটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে। এটি অ্যাপোলো মিশনের পর চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষকে ফেরত পাঠানোর জন্য নাসার প্রোগ্রামের শুরু।
SLS রকেটের উপরে রাখা আছে ওরিয়ন ক্যাপসুল, যা উৎক্ষেপণের প্রায় ৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ড পরে রকেটের মূল অংশ থেকে আলাদা হবে এবং চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে এগিয়ে যাবে। ক্যাপসুলটি ক্রুকে বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তবে এই প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের জন্য এটি কেবলমাত্র ম্যানকুইন বহন করবে যা মিশনের সময় ক্রু সদস্যরা যে শক্তি এবং বিকিরণ অনুভব করবে তা পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
Artemis I হল চাঁদে মানুষের প্রত্যাবর্তনের প্রথম ধাপ। আবহাওয়া বা অন্যান্য সমস্যার কারণে পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে, সেপ্টেম্বরের ১ম সপ্তাহে ২টি বিকল্প লঞ্চের তারিখ রয়েছে।
ফিঙ্গার ক্রসড 🤞
গতকাল আর্টেমিস বজ্রপাতের আঘাতের পর লঞ্চ প্যাডে সবকিছু ঠিক আছে। যদিও নাসা ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে।https://t.co/oBXnloRGtQ#Artemis
— বিজ্ঞানবার্তা – BigganBarta (@bigganbarta) August 29, 2022
কীভাবে উৎক্ষেপণ লাইভ দেখবেন?
এখানে এই ঐতিহাসিক ইভেন্টের NASA টিভি কভারেজের একটি সময়সূচী পিডিএফ আকারে রয়েছে। আপনি এই লিঙ্কে নাসা টিভি অনলাইন দেখতে পারেন।
আর্টেমিস ১-এর মিশন কী?
Apollo 17 মিশনে নভোচারী ইউজিন সারনান ১৯৭২ সালে চাঁদে শেষ পায়ের ছাপ রেখে যাওয়ার পর থেকে ২০২২ সাল, এই ৫০ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
২০২৫ সাল নাগাদ, আমরা দেখতে পাব মহাকাশচারীরা আরও একবার চন্দ্রের ধূলিকণার মধ্যে হেঁটে যেতে, কিন্তু এবার আরো বেশি বিশদ এবং পরিষ্কারভাবে ক্যামেরার অর্ধ শতাব্দীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কল্যানে। এতে সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম নিজেদেরকে উদীয়মান মহাকাশযাত্রী হিসেবে দেখতে পাবে, বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত হবে।
নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটারে এবং ফলো করুন আমাদের টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং ফেসবুক-এ। এছাড়াও যুক্ত হতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।
এই নিবন্ধটি Creative Commons Attribution-NoDerivatives 4.0 International License-এর অধীনে লাইসেন্সকৃত। পুনঃপ্রকাশের জন্য পুনঃপ্রকাশের নির্দেশিকা দেখুুন।